HSC Civics Assignment Answer Exam 2022 Batch
Merit Academic care
Jashore
01792-043563
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ | ১ম সপ্তাহ
অ্যাসাইনমেন্টঃ নাগরিক সভ্যতার
ক্রমবিকাশে পৌরনীতি ও সুশাসনের ধারণা বিশ্লেষণপূর্বক একটি নিবন্ধ রচনা কর।
নির্দেশনা/সংকেতঃ ১. পৌরনীতি ও
সুশাসনের ধারণা ও পরিধি, ২. সুশাসনের
বৈশিষ্ট্য 3. পৌরনীতি
ও সুশাসনের ক্রমবিকাশ;
পৌরনীতির ধারণাঃ
পৌরনীতি হল
সামাজিক ও নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান। পৌরনীতির ইংরেজি প্রতিশব্দ Civics (সিভিকস)। Civics শব্দটি ল্যাটিন
শব্দ Civis এবং Civitas শব্দ থেকে
এসেছে। Civis এবং Civitas শব্দের অর্থ
যথাক্রমে নাগরিক (Citizen) ও নগররাষ্ট্র (City State)। সুতরাং শব্দগত বা
উৎপত্তিগত অর্থে Civics বা পৌরনীতি হল
নগর রাষ্ট্রে বসবাসরত নাগরিকদের আচার-আচরণ, রীতিনীতি ও
কার্যাবলি সংক্রান্ত বিজ্ঞান। তবে প্রাচীনকালে ভারতবর্ষে এবং গ্রীসে Civics
বা পৌরনীতি বলতে নাগরিকদের অধিকার ও কর্তব্যকে বোঝানো হতো।
সংস্কৃত
ভাষায় নগরকে (City) পুর’ বা ‘পুরী এবং নগরে
বসবাসকারীদেরকে ‘পুরবাসী’ বলা হয়। যার জন্য নাগরিক জীবনের অপর নাম ‘পৌর জীবন একং
নাগরিক জীবনের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কিত বিদ্যার নাম পৌরনীতি। প্রাচীন গ্রিসে এক
একটি নগর ছিল এক একটি রাষ্ট্র। রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল এথেন্স এবং
স্পার্টা। এ নগর রাষ্ট্রগুলোর আয়তন ও জনসংখ্যা ছিল অত্যন্ত কম। নগর রাষ্ট্রের সকল
জনগণকে নাগরিক বলা হতো না। কেবল নগর রাষ্ট্রের যারা রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করতে
তাদেরকেই নাগরিক হিসেবে আখ্যায়িত করা হতো।
বর্তমানে পৌরনীতিকে
কেবল শব্দগত অর্থে আলোচনা করা হয় না। কেননা, বর্তমান
আধুনিক রাষ্ট্রগুলো গ্রিসের নগররাষ্ট্র (City State) এর মতো
নয়, বরং এগুলো এখন জাতি রাষ্ট্র (Nation State) হিসেবেই পরিগণিত।
আধুনিক
জাতি রাষ্ট্রে নাগরিকদের ভূমিকা ও কার্যাবলি, আচারআচরণ
এবং তাদের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ধারাবাহিক পর্যালোচনার মাধ্যমে যে শত্র
আদর্শ নাগরিক জীবনের জ্ঞান দান করে তাকেই পৌরনীতি বলে। ই এম হোয়াইট (E.M.
White) মনে করেন, “পৌরনীতি হল জ্ঞানের সেই
শাখা যা এক জন নাগরিকের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এবং স্থানীয়,
জাতীয় ও মানবসত্তার সাথে জড়িত সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।
সুতরাং পৌরনীতি হল সে শান্ত্র যা
নাগরিক, নাগরিকের কার্যক্রম, অধিকার
ও কর্তব্য, নাগরিকের অতীত, বর্তমান ও
ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত দিক এবং নাগরিকের সংগঠনসমূহ, রাষ্ট্র ও
বিশ্বমানবতা সংক্রান্ত সকল বিষয়ের সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করে।
সুশাসনঃ
সুশাসন প্রত্যয়টি পৌরনীতির
সাম্প্রতিক সংযোজন। সুশাসনের ইংরেজি প্রতিশব্দ হল Good
Governance’। সুশাসনকে স্পষ্টভাবে বুঝতে হলে শাসন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। Governance হল একটি বহুমাত্রিক ধারণা যা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ,
ক্ষেত্র এবং প্রেক্ষাপট থেকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। Government
এর মতই Governance শব্দটি এসেছে ‘kubernao’
নামক ল্যাটিন শব্দ থেকে, যার অর্থ পরিচালনা
করা। সাধারণত Governance বা শাসন এমন একটি পদ্ধতিকে বোঝায়,
যেখানে একটি পরিকল্পিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনাে সংস্থা, সমাজ বা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতি নির্ধারণ করা
হয়ে থাকে। বর্তমান বিশ্বে একটি জনপ্রিয় ধারণা হল সুশাসন। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে সুশাসন। ১৯৮৯ সালে
বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন সর্বপ্রথম সুশাসন প্রত্যয়টি ব্যবহার করা হয়। ২০০০
সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি স্তম্ভ ঘােষণা করে।
এ চারটি স্তম্ভ হল-
(i) দায়িত্বশীলতা
(ii) স্বচ্ছতা
(iii) আইনী কাঠামো
(iv) অংশগ্রহণ।
ম্যাক করণী (Mac Corney) এ প্রসঙ্গে বলেন, “সুশাসন
বলতে রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের, সরকারের সাথে জনগণের এবং
শাসকের সাথে শাসিতের সম্পর্ককে বুঝায়”। মারটিন মিনোগ (Martin Minogue) সুশাসন সম্পর্কে বলেন, “ব্যাপক অর্থে সুশাসন হচ্ছে
কতগুলো উদ্যোগের সমষ্টি এবং একটি সংস্কার কৌশল যা সরকারকে অধিকতর গণতান্ত্রিক,
স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক করতে সুশীল সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে
কার্যকর করে তোলে।” ল্যান্ডেল মিল (Landell Mill) মনে করেন,
সুশাসন একটি জাতির রাজনেতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে দিক নির্দেশ করে এবং
জন প্রশাসন এবং আইনী কাঠামাের মধ্যে এটি কিভাবে কাজ করে তা জানায়।
পৌরনীতি ও সুশাসনের
পরিধি:
পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধি ব্যাপক।
পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধি সম্পর্কে নিয়ে আলোচনা করা হল।
১। নাগরিকতা
বিষয়কঃ পৌরনীতি ও সুশাসন মূলত নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান। পৌরনীতি ও সুশাসন
নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য, সচেতনতা,
সুনাগরিকতা, নাগরিকতা অর্জন ও | বিলোপ, নাগরিকতার অর্থ ও প্রকৃতি, সুনাগরিকের গুণাবলি প্রভৃতি সম্পর্কে আলোচনা করে।
২ l মৌলিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত ঃ
মানব সভ্যতার ইতিহাসে পরিবার হল আদি ও অকৃত্রিম প্রতিষ্ঠান। পৌরনীতি ও সুশাসন
পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ, রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের
উৎপত্তি ও বিকাশ, রাষ্ট্রের কার্যাবলি প্রভৃতি মৌলিক
প্রতিষ্ঠান পৌরনীতি ও সুশাসনের অন্তর্ভূক্ত।
৩। রাজনৈতিক
প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আলোচনাঃ পৌরনীতি
ও সুশাসনের সাথে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের ধারণা, রাষ্ট্রের উৎপত্তি,
রাষ্ট্রের কার্যাবলি, রাষ্ট্র সম্পর্কে
বিভিন্ন মতবাদ, রাষ্ট্রের উপাদান, সংবিধান,
সংবিধানের শ্রেণিবিভাগ, সংবিধানের বৈশিষ্ট্য,
সরকার, সরকারের শ্রেণিবিভাগ, সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ, জনমত, জনমতের
বাহন, নির্বাচকমন্ডলী, রাজনৈতিক দল,
| নির্বাচন কমিশন প্রভৃতি পৌরনীতি ও সুশাসনের আলোচনার অন্তর্ভুক্ত।
৪। সামাজিক ও রাজনৈতিক
বিমূর্ত বিষয় নিয়ে আলোচনাঃ পৌরনীতি ও সুশাসন
সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের বিভিন্ন বিমূর্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। আইন, আইনের উৎস ও প্রকৃতি, আইন ও নৈতিকতা,
স্বাধীনতা, স্বাধীনতার প্রকৃতি, স্বাধীনতার রক্ষাকবচ, সাম্য ও স্বাধীনতা, সাম্যের প্রকারভেদ প্রভৃতি সম্পর্কে পৌরনীতি ও সুশাসন আলোচনা করে।
৫। রাজনৈতিক
ঘটনাবলি ও পৌরনীতিঃ সুশাসন রাজনৈতিক বিভিন্ন ঘটনাবলি নিয়ে আলোচনা করে।
যেমন বাংলাদেশে পৌরনীতি ও সুশাসন পলাশীর যুদ্ধ, সিপাহী
বিদ্রোহ, , ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, সামরিক
অভ্যুত্থান ইত্যাদি রাজনৈতিক পর্যায় সম্পর্কে আলোচনা করে।
৬। সুশাসন
সম্পর্কে আলোচনাঃ পৌরনীতি ও সুশাসন রাষ্ট্রের সুশাসনের বহুমাত্রিক ধারণা
সম্পর্কে আলোচনা করে। সুশাসনের উপাদান, সুশাসনের
সমস্যা, সুশাসনের সমস্যার সমাধান, সুশাসনের
সমস্যা সমাধানে সরকার ও জনগণের ভূমিকা সম্পর্কে পৌরনীতি ও সুশাসন আলোচনা করে।
৭। নাগরিকের
অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
নিয়ে আলোচনা : পৌরনীতি ও সুশাসন নাগরিকের
অধিকার ও কর্তব্যের বর্তমান স্বরূপ সম্পর্কে আলোচনা করে এবং এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ
নাগরিক জীবনের আদর্শ ও স্বরূপের ইঙ্গিত প্রদান করে।
৮। নাগরিকের
স্থানীয়, জাতীয় ও
আন্তর্জাতিক দিক নিয়ে আলোচনা ঃ পৌরনীতি ও
সুশাসন নাগরিকের সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যাবলির সাথে সম্পৃক্ত স্থানীয় সংস্থার
(যেমন, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা
পরিষদ, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন ইত্যাদি) গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি
নিয়ে আলোচনা করে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন এবং বিভিন্ন ঘটনাবলি
সম্পর্কেও পৌরনীতি ও সুশাসন আলোচনা
৯। নাগরিক
জীবনের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াদিঃ পৌরনীতি ও সুশাসন আধুনিক নাগরিক জীবনের
সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন বিষয়াবলি নিয়ে আলোচনা করে। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক
সমস্যার সমাধানও পাওয়া যায় এর মাধ্যমে।
১০। সুশাসন
ও ই-গভর্নেন্সঃ পৌরনীতি ও সুশাসন
বর্তমান সময়ে | সুশাসন ও ই-গভর্নেন্স নিয়ে আলোচনা
করে। সরকার কিভাবে স্বচ্ছতা,জবাবদিহিতা, আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, নিরপেক্ষ নির্বাচন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে পারে সে বিষয়ে | পৌরনীতি
ও সুশাসন আলোচনা করে।
পরিশেষে বলা যায় যে, পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধি ও বিষয়বস্তু ব্যাপক ও বিস্তৃত।
নাগরিকের জীবন ও কার্যাবলি যতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধিও ততদূর
পর্যন্ত বিস্তৃত।
সুশাসনের প্রধান বৈশিষ্ট্য
গুলো হচ্ছে:-
জবাবদিহিতা : দায়বদ্ধতা সুশাসনের
মৌলিক দাবী। স্থানীয় সরকার, রিপোর্ট
ব্যাখ্যা এবং সিদ্ধান্ত সব কিছুর জন্য জবাবদিহি করতে একটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
স্বচ্ছতা : মানুষ অনুসরণ করে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া বুঝতে
সক্ষম হওয়া উচিত। এর মানে হল এই যে, তারা
স্পষ্ট দেখতে কিভাবে এবং কেন একটি সিদ্ধান্ত সক্ষম হবে তথ্য, পরামর্শ এবং
পরামর্শ পরিষদ বিবেচিত হতে হবে, এবং সব কিছু বিধানিক
কাউন্সিল হতে অনুসৃত হবে(প্রাসঙ্গিক যখন)।
আইনের শাসন অনুসরণ : এর অর্থ এই যে সিদ্ধান্ত প্রাসঙ্গিক আইন বা প্রচলিত আইনের সঙ্গে
সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় এবং পরিষদের ক্ষমতার মধ্যে হয়। স্থানীয় সরকারের ক্ষেত্রে, প্রাসঙ্গিক আইন রয়েছে স্থানীয় সরকার আইন ১৯৮৯ এবং যেমন
অন্যান্য আইন জনস্বাস্থ্য অ্যাক্ট ২০০৮, এবং সমান সুযোগ আইন
২০১০।
প্রতিক্রিয়াশীল : স্থানীয় সরকার সবসময় যখন একটি সময়মত উপযুক্ত এবং
প্রতিক্রিয়াশীল পদ্ধতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী স্বার্থ, সমগ্র সম্প্রদায়ের চাহিদা অনুযায়ী পরিবেশন করার চেষ্টা করবে।
ন্যায়সঙ্গত : রাষ্ট্র তার সদস্যদের স্বার্থে সব কমিউনিটির কল্যাণে ফলাফল
লব্ধ সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় কাউন্সিল দ্বারা বিবেচনা করবে। এর অর্থ এই যে
সব গ্রুপ, বিশেষ করে সবচেয়ে প্রধান, প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকতে হবে।
সুশাসন কার্যকর ও দক্ষতা
: স্থানীয় সরকার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এবং
কার্যকর প্রক্রিয়ায় যে তাদের সম্প্রদায়ের জন্য সম্ভাব্য সর্বোত্তম ফলাফল
নিশ্চিত করার জন্য পাওয়া মানুষ, সম্পদ এবং
সময় সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত ভাবে অনুসরণ করবে।
অংশগ্রহণমূলক হওয়া : একটা সিদ্ধান্তে আগ্রহী দ্বারা প্রভাবিত করার লক্ষে যে কারো
যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা উচিত। এটা
বিভিন্নভাবে ঘটতে পারে – সম্প্রদায়ের সদস্যদের, কিছু ক্ষেত্রে সুপারিশ বা, প্রকৃত সিদ্ধান্ত গ্রহণের
প্রক্রিয়ার অংশ হতে সুযোগ দেওয়া তথ্য, তাদের মতামত প্রদান
করা হতে পারে।
বর্তমানে আইনের লঙ্ঘন হিসেবে
চিহ্নিত করা, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহের
নাগরিক দ্বারা নির্বাচিত সরকার, প্রশাসনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা চিহ্নিতকরণসহ আরো অনেক বিষয় সুশাসনের মূল বক্তব্য।
. পৌরনীতি ও সুশাসনের
ক্রমবিকাশ:
0 comments:
Post a Comment