HSC Assignment Answer
3rd Week
Subject Bangla
অ্যাসাইনমেন্টঃ ব-ফলা, ম-ফলা
ও য-ফলা উচ্চারণ সূত্র এবং ফলাযুক্ত শব্দের উদাহরণ
অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশ না ( সংকেত/ধাপ/পরিধি):
ব-ফলার
উচ্চারণ সূত্র লেখা।
পুনবিন্যাসকৃত
পাঠ্যসূচির গদ্য কবিতা থেকে ব-ফলা যুক্ত শব্দ বাছাই করে উচ্চারণ লেখা।
ম-ফলার
উচ্চারণ সূত্র লেখা।
পুনবিন্যাসকৃত
পাঠ্যসূচির গদ্য কবিতা থেকে বাছাই করে উচ্চারণ লেখা।
য-ফলার
উচ্চারণ সূত্র লেখা।
পুনর্বিন্যাসের
গদ্য কবিতা থেকে য-ফলা যুক্ত শব্দ বাছাই করে উচ্চারণ সহ লেখা।
ব-ফলা, ম-ফলা ও য-ফলা উচ্চারণ
সূত্র এবং গদ্য
কবিতা থেকে বাছাইকৃত ফলা যুক্ত শব্দের উদাহরণ।
ব-ফলার উচ্চারণের সূত্র
ব-ফলার
উচ্চারণের সূত্রগুলো নিচে আলোচনা করা হলো
শব্দের
আদিতে ব-ফলা যুক্ত হলে ‘ব’ অনুচ্চারিত হয়, তবে যে বর্ণ সংযুক্ত
হয় সে বর্ণ উচ্চারণে একটু শ্বাসাঘাত লাগে।
যেমন- স্বামী,
স্বাধীকার, জ্বলছে, দ্বিতীয়।
শব্দের
শেষে বা মধ্যে ব-ফলা থাকলে সেই ব ফলা অনুচ্চারিত এবং যে বর্ণে যুক্ত সেই বর্ণ
দ্বিত্ব হয়।
যেমনঃ বিশ্বাস,
ভূস্বামী, বিশ্ব।
উৎ
উপসর্গের সাথে ব যুক্ত হলে ব উচ্চারিত হয়।
যেমনঃ উদ্বেগ,উদ্বেলিত, উদ্বাস্তু ,উদ্বোধন।
শব্দের
মধ্যে বা শেষে বা এর সঙ্গে ব, ম এর সঙ্গে ব যুক্ত হলে ঐ ‘ব’
উচ্চারিত হয়। যেমনঃ সাব্বাস, আব্বা, নব্বই।
সন্ধি
সূত্রে আগত ‘ক’ স্থলে ‘গ’ হলে সেই ‘গ’ এর সাথে যুক্ত হলে সে ‘ব’ উচ্চারিত।
যেমনঃ দিগ্বালিকা,দিগ্বধ।
যুক্ত
ব্যঞ্জন এ ব-ফলা যুক্ত হলে ব উচ্চারিত হয় না।
যেমনঃ দ্বন্দ্ব,
সান্তনা, উজ্জ্বল, উচ্ছ্বাস।
পূর্ণবিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির গদ্য ও কবিতা থেকে ‘ব’ ফলা যুক্ত
শব্দের উচ্চারণ
সম্বন্ধ
– শম্ বন্ ধো
অদ্বিতীয়
– অদ্ দিতিয়ো
সরস্বতী
– শরোশ্ শোতি
নিঃশ্বাস
– নিশ্ শাশ
দাসত্ব
– দাশোত্ তো
স্বস্তি
– শোস্ তি
উদ্বিগ্ন
– উদ্ বিগনো
সন্ধান
– শন্ ধান
শ্বাপদ
– শাপদ্
জ্বালা
– জালা
ম-ফলার উচ্চারণ সূত্র
ম
ফলা উচ্চারণের সূত্রগুলো নিচে আলোচনা করা হলো
শব্দের
আদিতে ম-ফলা যুক্ত হলে সেই ম অনুচ্চারিত থাকে।
যেমন স্মৃতি,
স্মরণ ।
কিন্তু
ম এর কারণে যে বর্ণের সাথে ম যুক্ত হয় সেই বর্ণটি একটু অনুনাসিক হয়। যেমন স্মৃতি, শ্মশান।
শব্দের
মধ্যে বা শেষে ম যুক্ত হলে দ্বিত্ব হবে,শেষ বর্ণটি একটু
অনুনাসিক হবে। যেমনঃপদ্মা, ছদ্মবেশ, আত্মীয়।
গ,ঙ,ট,ণ,ন,ম,ল এর সাথে যুক্ত
হলে ম রক্ষিত হবে, কিন্তু দ্বিত্ব হবে না।
যেমনঃ
গ্ম-
বাগ্মী,যুগ্ম।
ঙ্ম-
বাঙ্ময়,পরাঙ্মুখ।
ট্ম-কুট্মালিত
তরু কুঞ্জে গাঁথিব মালিকা।
ন্ম-
জন্ম,উন্মাদ,মৃন্ময়,।
ম্ম-
সম্মানিত
ল্ম-
গুল্ম,বাল্মীকি,শাল্মলী (শিমুল)।
যুক্তব্যঞ্জনের
মধ্যে বা শেষে ম উচ্চারিত হয় না, দ্বিত্ব হয় না, কিন্তু নাসিক্য হয়।
যেমন- যক্ষ্মা, লক্ষ্মণ।
কৃৎ
ঋণ শব্দের আদিতে ম উচ্চারিত।
যেমনঃস্মিতাপাতিল,সুষ্মিতা,
পূর্ণবিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির গদ্য ও কবিতা থেকে ‘ম’ ফলা যুক্ত
শব্দের উচ্চারণ
সম্মার্জনা
– শম্ মারজোনা
উন্মনা
– উন্ মনা
আত্মপ্রকাশ
– আত্ তোঁপ্রোকাশ্
অকস্মাৎ
– অকোশ্ শাঁত
সবিস্ময়
– শোবিশ্ ময়
আত্মহত্যা
– আত্ তোঁহোত্ তা
সম্মুখ
– শম্ মুখ
আজন্ম
– আজন্ মো
স্মৃতি
– সৃতি
স্মরণ
– শঁরোন
য-ফলার উচ্চারণ
য-ফলার উচ্চারণ গুলো নিচে দেওয়া হলঃ
শব্দের
প্রথমে অ-কারান্ত বা আ-কারান্ত বর্ণে য -ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণ অ্যা হয়।
যেমনঃ ব্যয়, খ্যাত, ব্যাথা, ব্যাকরণ।
য-ফলা
যুক্ত বর্ণের পর ই-কার থাকলে এ উচ্চারিত হয়।
যেমনঃব্যাক্তি
শব্দের
অন্তে বা মধ্যে য-ফলা থাকলে দ্বিত্ব হবে।
যেমনঃ উদ্যান,বিদ্যা, তথ্য।
মহাপ্রাণ
হলে প্রথমটি অল্পপ্রাণ দ্বিতীয়টি মহাপ্রাণ।
হ
এবং য ফলা যুক্ত হলে হ লোপ পায়।
যেমনঃ সহ্য।
যুক্ত
ব্যঞ্জনে য ফলা যুক্ত হলে তার উচ্চারণ থাকে না, অ রক্ষিত।
যেমনঃ স্বাস্থ্য, কন্ঠ, বন্দ্যোপাধ্যায়।
ব-ফলা
ম-ফলা ও য-ফলা উচ্চারণ সূত্র এবং ফলাযুক্ত শব্দের উদাহরণ।
পূর্ণবিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির গদ্য ও কবিতা থেকে ‘য’ ফলা যুক্ত
শব্দের উচ্চারণ
ব্যতীত
– ব্যাতিতো
ব্যস্ত
– ব্যাস্ তো
বিদ্যা
– বিদ্ দা
সহ্য
– শোজ্ ঝো
প্রত্যেক
– প্রোত্ তেক
শয্যাগত
– শোয্ যাগত
অসাধ্য
– অশাদ্ ধো
ভাগ্য
– ভাগ্ গো
মিথ্যা
– মিত্ থা
দিব্যি
– দিব্ বি
ব্যবস্থা
– ব্যাবোস্ থা
ধন্য
– ধোন্ নো
এই
ছিল তোমাদের এইচএসসি ৩য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বাংলা ২য় পত্রের বাছাইকৃত উত্তর।
0 comments:
Post a Comment