Wednesday, June 23, 2021

HSC Economics Assignment Second week

 

অর্থনীতি এ্যাসাইনমেন্ট

দ্বিতীয় সপ্তাহ

Download PDF

Video Discussion


follow our Facebook page 



এ্যাসাইনমেন্টঃ রবির বাবার দুই বিঘা জমি আছে। উক্ত জমির আলোকে একটি টেকসই পরিবেশ বান্ধব একটি কৃষিভিত্তিক রুপরেখা প্রস্তুত কর।

 

শিখনফল বা বিষয়বস্তুঃ বাস্তবচিত্র, ঘটনা ও তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে বাংলাদেশের কৃষিখাতে শস্য উৎপাদন, মৎস চাষ, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি প্রতিপালন, চিংড়ি ও মাশরুম চাষ, বন ও নার্সারি স্থাপনের পরিবর্তনের ধারা ব্যাখ্যা করতে পারবে।বাংলাদেশের কৃষিতে পরিবেশ দূষণ, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব চিহ্নিত করে বিদ্যমান সংকট উত্তরণ এবং অভিযোজনের উপায় অনুসন্ধাণ করতে পারবে।

 

বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে পারমানবিক শক্তি, বায়োটেকনোলজি পদ্ধতি এবং আইসিটি ব্যবহারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে। কৃষি উন্নয়নে গৃহীত নীতি ও কর্মসূচির প্রতি সমর্থন দানে উদ্বুদ্ধ হবে।

 

 

 

 

নির্দেশনা বা সংকেতঃ

বাংলাদেশের কৃষিরপরিবর্তনের ধারা।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট উত্তরণে অভিযোজনের উপায় অনুসন্ধান

কৃষিতে পারমানবিক শক্তি, জৈব প্রযুক্তি, আইসিটি এর ব্যবহারের সুফল

  কৃষি উন্নয়নে কৃষি প্রযুক্তি, সরকারের গৃহীত নীতি ও কর্মসূচির সাফল্য মূল্যায়ন

 

 

 

 

বাংলাদেশের কৃষি পরিবর্তনের ধারণা:

 

বাংলাদেশে বর্তমানে কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। স্বাধীনতার পর কৃষি উৎপাদনযোগ্য ভূমির পরিমান বৃদ্ধি পায়নি। অথচ প্রতি মুহুর্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে খাদ্যগ্রহনকারীর সংখ্যা। বিদ্যমান কৃষিভূমিতে বসতবাড়ি নির্মান ও নগরায়নের ফলে কৃষি উৎপাদনযোগ্য ভূমির পরিমান ব্যাপক ভাবে হ্রাস পাওয়া স্বত্তেও কৃষি উৎপাদনে বাংলাদেশের সফলতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ পরিবর্তন উৎপাদনের কলাকৌশল,উপকরনসমূহের প্রয়োগ,শস্য-উদ্ভিদ ও প্রানিজ সম্পদ পরিচর্যা, উৎপাদনের পরিমান ইত্যাদি ক্ষেত্রে বেশী লক্ষনীয়।

 

ক) বর্তমানকালে বিভিন্ন শস্যের প্রচলিত বীজের পরিবর্তে উদ্ভাবিত নতুন নতুন জাতের উচ্চ ফলনশীল বীজের ব্যবহার এমন বাড়ছে। বিশেষ করে ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে তা বিশেষভাবে লক্ষনীয়। বর্তমানে প্রায় ৩৭টি উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ হচ্ছে।

 

খ) মানুষ ও পশুচালিত লাঙলের পরিবর্তে পাওয়ারটিলার, ভাড়ায় চালিত ট্রাক্টর বাহিত লাঙল,শস্য মাড়াই যন্ত্র ইত্যাদির ব্যবহার চলছে।

 

গ) গোবরের সারের পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম সার ও কীটনাশকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বৃষ্টিপাতের পরিবর্তে যন্ত্রনির্ভর পানিসেচের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

ঘ) শস্য বহুমুখীকরণও শস্য উৎপাদনে পরিবর্তনের ধারার আর একটি রূপ। আবার এক জমিতে এখন বছরে দুটি তিনটি শস্যের চাষ চলছে।

 

ঙ) কৃষক তার জমির আইলে ফলের গাছ লাগাচ্ছে, জমি পতিত না রেখে সেখানে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করেছে। ফলে নিবিড় চাষের মাত্রা ও আওতা বাড়ছে।

 

চ) শস্য উৎপাদনের পরিমানেও এসেছে দারুন পরিবর্তন।

উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তিকে প্রকৃত ব্যবহার করতে হবে। কৃষকের খামারে। মাঠে দ্রুত পৌঁছাতে বর্তমান কৃষি সম্প্রসারণ কৌশল এবং মোবাইল ফোন সংযোজনের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স এগ্রিকালচার তথা ই-কৃষির প্রচলন প্রয়োজন।

 

কৃষি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি। আর কৃষির উন্নয়ন বহুলাংশে নির্ভর করে তথ্য ও প্রযুক্তির সঠিক ও সময়োপযোগী ব্যবহারের ওপর। বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়ন তো বটেই, পরিবর্তনশীল কৃষি উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার সময়ের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বিশ্ব এখন তথ্য প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল।

 

২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশের জিডিপিতে সমন্বিত কৃষিখাতের অবদান ধরা হয় শতকরা ১৫.৯৬ ভাগ। অর্থাৎ পূর্বের তুলনায় বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে কৃষিখাতের অবদান অনেক কমে এসেছে।

 

দেশে শিল্প, সেবা ও ব্যবসা ক্রমেই উন্নত হওয়ায় এমনটি হয়েছে। জিডিপিতে কৃষির উপখতগুলোর অবদানের ক্ষেত্রে যথেষ্ট তারতম্য দেখা যায়। উপখাত গুলোর মধ্যে শস্য ও শাক-সবজি উপখাতের অবদান সবচেয়ে বেশি। তারপর রয়েছে প্রাণিসম্পদ ও বনজসম্পদ উপখাত;সার্বিক বিবেচনায় মৎস্য খাতের অবদান প্রাণিসম্পদ ও বনজ সম্পদ উপখাত থেকে বেশি।

 

জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সংকট উত্তরণে অভিযোজনের উপায় অনুসন্ধান:

 

বাংলাদেশের ভূখন্ড উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে ক্রমশ ঢালু। এর ফলে নদ-নদীর গতিপথ উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ধরনের ভৌগোলিক অবস্থান জনিত কারণে বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, অতিবৃষ্টি, কালবৈশখী, শিলাবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি প্রভৃতি প্রতিকূল অবস্থা দেখা যায়। জলবায়ুগত কোন কোন উপাদানগুলো ফসল উৎপাদনের জন্য প্রতিকূল পরিবেশের সৃষ্টি করে। প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টিকারী জলবায়ুগত উপাদানগুলো মধ্যে রয়েছেঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বোস, বন্যা, খরা ইত্যাদি।

ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস

বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সমুদ্রোপকূল এলাকায় এর তীব্রতা বেশি। উপকূলের প্রায় ২.৮৫ মিলিয়ন হেক্টর এলাকা প্রায় প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সমুদ্রে যখন নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় তখন তা সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের আকারে স্থলভাগের দিকে আসে। এর ফলে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি উঁচু হয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই স্থলভাগে ঢুকে পড়ে।

 

বন্যা

সাধারণভাবে নদী-নালা, খাল-বিল দিয়ে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি পানি বয়ে গেলেই বন্যা দেখা দেয়। বন্যা বাংলাদেশে অতি স্বাভাবিক ঘটনা। কোন কোন বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবার কোন কোন বছর বিভিন্ন সময়ে বন্যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়। বৃষ্টি জলীয় বাষ্প সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়। এই মৌসুমী বায়ু উত্তরের পাহাড়ের গায়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। বাংলাদেশের উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে ক্রমশ ঢালু হওয়াতে বৃষ্টির পানি নদ-নদী দিয়ে প্রবাহিত হয় দক্ষিণ দিকে।

 

খরা

খরা বাংলাদেশের একটি অতি পরিচিত ও মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। খরার কারণে এদেশে ৩০-৭০% পর্যন্ত ফসলহানি হতে পারে। গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য মাটিতে প্রয়োজনীয় পানির ঘাটতি হলে সেই অবস্থাকে খরা বলা হয়। যে মৌসুমে সাধারণত মাটিতে রসের এই ঘাটতি অবস্থা থাকে তাকে বলা হয় খরা মৌসুম। খরার প্রধান প্রধান কারণগুলি হল অনাবৃষ্টি, সেচের পানির অভাব, প্রখর রৌদ্রতাপ ও বেলে বা ঢালু জমিতে কোন আচ্ছাদন না থাকা। খরা অবস্থায় চারা গাছ খুব সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খরাকে তীব্র, মাঝারি ও সাধারণ এই তিনভাগে ভাগ করা যেতে পারে। বাংলাদেশে সকল মৌসুমেই খরা দেখা দিতে পারে। বরেন্দ্র অঞ্চল ও গঙ্গা পলিমাটি এলাকার নওয়াবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁ জেলায় প্রায় ১০ লক্ষ হেক্টর জমিতে প্রতি বছর প্রচন্ড খরা দেখা দেয়।

 

 

 

বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় ফসল রক্ষার কৌশল

 

১. অতিবৃষ্টি : বাংলাদেশে জুন থেকে অক্টোবর মাসে বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। এ সময়ে কখনো কখনো একটানা কয়েকদিন প্রচুর বৃষ্টি হয়ে থাকে একে অতিবৃষ্টি বলে। অনেক ফসলের গাছের গোড়া নেতিয়ে বা হেলে পড়ে। এক্ষেত্রে গাছের চারার গোড়ায় মাটি দিয়ে সোজা করে বাঁশের খুঁটির সাথে বেঁধে দিতে হবে। এ সময় শাক সবজির মাঠ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

২. অনাবৃষ্টি : যদি শুষ্ক মৌসুমে একটানা ১৫ দিন বা এর বেশীদিন বৃষ্টি না হয় তখন আমরা তাকে অনাবৃষ্টি বলি। অনাবৃষ্টির হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য আমরা সেচ দিয়ে থাকি। বৃষ্টি নির্ভর আমন ধান চাষের ক্ষেত্রে যদি অনাবৃষ্টি দেখা দেয় তবে জমিতে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। জমিতে নিড়ানি দিতে হবে। শীতকালীন সবজি ক্ষেতে জাবড়া প্রয়োগ করে পানি সংরক্ষণ করতে হবে।

 

৩. শিলাবৃষ্টি : বাংলদেশে সাধারণত মার্চ এপ্রিল মাসে শিলাবৃষ্টি হয়। শিলাবৃষ্টির কারণে বিশেষ করে রবি ফসল, যেমন: পেঁয়াজ, রসুন, গম, আলু ইত্যাদি নষ্ট হয়। শিলার আকার ও পরিমাণের ওপর ক্ষতি নির্ভর করে। ক্ষতি বেশি হলে এসব ফসল ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করে ফেলতে হবে। কিছু ফসল বাড়ন্ত অবস্থায় শিলার আঘাতে ডালপালা ভেঙে নষ্ট হয়। এক্ষেত্রে ভাঙা ডালপালা ছাটাই করে সার ও সেচ দিয়ে যত্ন নিলে ফসলকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়।

 

খরা অবস্থায় ফসল রক্ষার কৌশল

 

১. উপযুক্ত ফসল বা ফসলের জাত ব্যবহার : খরা শুরু হওয়ার আগেই ফসল তোলা যাবে এমন স্বল্পায়ু জাতের অথবা খরা সহ্য করতে পারে এমন জাতের চাষ করতে হবে। যেমন: আমন মৌসুমে বিনা ধান ৭, ব্রি ধান ৩৩ এক মাস আগে পাকে। ফলে সেপ্টম্বর-অক্টোবর মাসের খরা থেকে ফসল রক্ষা করা যায়। বিজয়, প্রদীপ গমের দুটি খরা সহনশীল জাত।

 

. মাটির ছিদ্র নষ্টকরণ : খরা কবলিত এলাকায় বৃষ্টির মৌসুম শেষ হওয়ার পর মাটিতে অগভীর চাষ দিয়ে রাখতে হবে। এতে করে মাটির উপরিভাগের সুক্ষ্ম ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।

 

৩. অগভীর চাষ : অগভীর চাষ দিয়ে মাটির আর্দ্রতা রক্ষা করতে হবে। প্রতি চাষের পর মই দিয়ে মাটিকে আাঁটসাট অবস্থায় রাখতে হবে। এতে মাটিতে পানির অভাব পূরণ হবে।

 

৪. জাবড়া প্রয়োগ : শুকনো খড় লতাপাতা, কচুরিপানা দিয়ে বীজ বা চারা রোপনের পর মাটি দ্বারা ঢেকে দিলে আর্দ্রতা সংরক্ষিত থাকে। এর ফলে সূর্যের তাপে পানি বাষ্পে পরিণত হতে পারে না। অনেক দেশে কালো পলিথিন শিটও ব্যবহার করা হয়। এতে আগাছার উপদ্রবও কম হয়।

 

 

 

খরায় পশুপাখি রক্ষার কৌশল

 

খরা বাংলাদেশের একটি অতি পরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা প্রতিবছরই শুকনো মৌসুমে খরা কবলিত হয়। খরা মৌসুমে সবুজ ঘাসের অভাবে কৃষকেরা পশু খাদ্য হিসেবে মূলত খড়ের ওপরেই নির্ভরশীল থাকেন। কিন্তু পশুর স্বাভাবিক পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য ঘাস না খাইয়ে কেবলমাত্র কেবল খড়ই যথেষ্ট নয়। পশুকে কেবলমাত্র ছোবড়া জাতীয় খাদ্য খাওয়ালেই চলবে না । খড়ে অল্প পরিমাণ শর্করা রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে অন্যান্য খাদ্য উপাদান অনুপস্থিত। তাই কেবলমাত্র খড় বিচালি খেলে পশুপাখি অনিবার্যভাবেই অপুষ্টির শিকার হয়। একারণে খরা পরিস্থিতিতে পশুপাখিকে কাাঁচা ঘাসের সম্পূরক বিভিন্ন ধরনের খাদ্য খাওয়ানো প্রয়োজন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কৃষিতে পারমাণবিক শক্তি, জৈব প্রযুক্তি ,আইসিটি এর ব্যবহারের সুফল:

 

কৃষিতে পারমানবিক পদ্ধতি/প্রযুক্তি

 

কৃষিক্ষেত্রে পারমানবিক শক্তি বিকিরণকে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে কাজে লাগানোই হলো পারমানবিক কৃষি পদ্ধতি/প্রযুক্তি। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, পারমানবিক প্রযুক্তির অধীনে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্ভিদ ও প্রাণীর গুনগত, পরিমাণগত বা রূপগত পরিবর্তনকে কৃষিতে পারমানবিক পদ্ধতি/প্রযুক্তি বলে পরিচিত।

 

বায়োটেকনোলজি পদ্ধতি বা জৈব প্রযুক্তি

বায়োটেকনোলজি পদ্ধতি বা জৈব প্রযুক্তি উদ্ভিদ, প্রাণী এবং অনুজীবের পরিমিত রূপান্তর ও মান উন্নীতকরণে যে বৈজ্ঞানিক কলাকৌশল ব্যবহার করা হয় তাই হলো বায়োটেকনোলজি পদ্ধতি বা জৈব প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তির সাহায্যে বিদ্যমান উদ্ভিদ ও প্রাণী থেকে উন্নততর ও অধিক উৎপাদনক্ষম ধরনের উদ্ভিদ উৎপাদন ও প্রাণীর প্রজনন সম্ভব।

 

বাংলাদেশে কৃষিক্ষেত্রে আইসিটি এর ব্যবহার –

 

বাংলাদেশে কৃষকদের কৃষি উৎপাদন ও কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে আইসিটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। নিচে তার বিবরণ দেওয়া হলো:

 

১। কৃষি তথ্য সার্ভিস: বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কৃষি তথ্য সার্ভিস প্রতিষ্ঠানটি আইসিটি এর সাহায্যে কৃষকদেরকে কৃষিসংক্রান্ত তথ্য ও প্রযুক্তি জানতে সাহায্য করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সিনেমা ভ্যানে করে তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর বিনোদনমূলক কৃষি অনুষ্ঠান প্রচার করছে। এক্ষেত্রে বিনোদন লাভের সাথে সাথে কৃষকরা কৃষি উৎপাদন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় জানতে পারছে। প্রতিষ্ঠানটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তারা কৃষি উৎপাদনের সাথে জড়িত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেতে পারে।

 

 

 

২। ইন্টারনেট: আজকাল বাংলাদেশের শিক্ষিত কৃষকেরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কৃষি-উৎপাদন ও পণ্য বিপণন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় জানতে পারে। কৃষি তথ্য সার্ভিস গ্রাম পর্যায়ে কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র স্থাপন করে তার মাধ্যমে কৃষি তথ্য হস্তান্তরের ব্যবস্থা করে। এখন দেশে কৃষি তথ্য পাওয়ার জন্য কতগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে এগুলো হল: ইত্যাদি। এসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কৃষকরা কৃষি উৎপাদন সংক্রান্ত যেকোন সমস্যার সমাধান পেতে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার সাথে পরিচিত হতে পারে।

 

৩। টিভি চ্যানেল: কৃষক ও কৃষির উন্নতির জন্য কৃষি তথ্য প্রদানের ব্যাপারে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল গুলো যথেষ্ট তৎপর ।এ প্রসঙ্গে চ্যানেল আই. এর হৃদয়ে মাটি ও মানুষ, বৈশাখীর কৃষি ও জীবন, বাংলাভিশনের শ্যামল ছায়া, জিটিভির সবুজ বাংলা, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষকরা স্বচক্ষে কৃষির বিভিন্ন বিষয় অবলোকন করে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন ও প্রয়োগ করতে পারে।

 

৪। মোবাইল ফোন : বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেও কৃষকরা কৃষিকাজ উপযোগী তথ্য ও পরামর্শ পেতে পারে । মোবাইল কোম্পানি বাংলা লিংক- এর জিজ্ঞাসা ৭৬৭৬ নম্বরটি কৃষি সংশ্লিষ্ট সেবাদানের জন্য উন্মুক্ত রেখেছে । কৃষকরা গ্রামাঞ্চলে ,সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত কৃষি কল সেন্টারগুলোতে কল করে সরাসরি অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছ থেকে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেতে পারে ।

 

এভাবে দেখা যায়, আইসিটি ব্যবহার করে কৃষকরা সহজেই দেশ ও দেশের বাইরের কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত জানতে এবং তার সাহায্যে সুষ্ঠুভাবে কৃষিকাজ পরিচালনা করতে পারে ।

 

 

 

 

 

 

 

 

বাংলাদেশের কৃষিতে আইসিটি ব্যবহারের গুরুত্ব

বর্তমানকালে ফলপ্রসূ উপায়ে কৃষিকাজ পরিচালনার জন্য আইসিটির ব্যবহারের বিকল্প নেই। নিচে বাংলাদেশের কৃষিতে আইসিটি ব্যবহারের গুরুত্ব আলোচনা করা হল:

 

১। আবাহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য প্রাপ্তি: কৃষিকাজে আবহাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময় মতো বীজ বপন, চারা তৈরি, রোপন, কীটনাশক প্রয়োগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে আগাম আবহাওয়া বিষয়ক তথ্য জানা একান্ত প্রয়োজন। আবহাওয়ার সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে শস্য ও মৎস্য ক্ষেত্রে কতগুলো পরিপূরক ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম গ্রহন করা যায়। তাছাড়া,কৃষিকাজ সুষ্ঠুরূপে পরিচালনার জন্য কৃষকদেরকে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা ও সমাধান,প্রাকৃতিক দূর্যোগের পূর্বাভাস ইত্যাদি সম্পর্কেও অবিহিত হতে হয়।

 

 

 

২। উন্নত উপকরণের তথ্য সংগ্রহ: আজকাল কৃষি উৎপাদনের মান ও পরিমান বৃদ্ধির জন্য দেশে দেশে উন্নততর বীজ, সার ও কীটনাশক উদ্ভাবিত হচ্ছে। এর সাথে রয়েছে নতুন নতুন কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যপারও। মানসম্মত সর্বাধিক কৃষিফলন পাওয়ার জন্য সর্বত্তম কৃষি উপকরণ ও টেকসই প্রযুক্তির নির্বাচন প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে যথার্থ তথ্য দ্রুত পেতে হলে আইসিটির ব্যবহার আবশ্যক।

 

৩। কৃষি উপকরণ সমূহ ব্যবহারের নিয়ম-কানুন: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উন্নত ও আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ও উপকরণ সংগ্রহের সাথে সাথে তার ব্যবহারের নিয়মকানুন জানা অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় বিষয় সহজেই জানা যায়।

 

৪। কৃষি উৎপাদন সর্বাধিক করার ক্ষেত্রে : কৃষি-উৎপাদন সর্বাধিক করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ সময়মতো ও প্রয়োজনীয় পরিমাণে সংগ্রহ করা দরকার। এক্ষেত্রে আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে সব ধরনের তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

 

৫। রোগবালাই দমন: নতু উদ্ভাবিত বীজ ব্যবহার করতে গিয়ে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদির আক্রমনে ফসল নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে। এক্ষেত্রে রোগ-বালাই দমনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইসিটির ব্যবহার করা আবশ্যক।

 

৬। বিভিন্ন কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন: কৃষিকাজ করে আশানুরূপ ফল পেতে হলে উৎপাদনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত সকল কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন জরুরি। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা পেতে হলে আইসিটির ব্যবহার করা আবশ্যক।

 

সুতরাং বলা যায়,কৃষিখাতকে অধিক উৎপাদনক্ষম করতে হলে আমাদের কৃষকদেরকে ধীরে ধীরে আইসিটির ব্যবহারে তৎপর হতে হবে।

 

কৃষি উন্নয়নে কৃষি প্রযুক্তি, সরকারের গৃহীত নীতি ও কর্মসূচির সাফল্য মূল্যায়ন:

 

কৃষির টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক তথ্যপ্রযুক্তি রয়েছে। এসব তথ্য প্রযুক্তি কৃষকের ব্যবহার উপযোগী ও সহজবোধ্য করে স্বল্পসময়ের মধ্যে তাদের দোড়গোয়ায় পোঁছে দিতে পারলে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষকের আর্থসামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে। জীবনযাত্রার মান বাড়বে। কৃষি লাভজনক ও ঝুঁকিমুক্ত হবে। তরুণ উদ্যোক্তারা এ খাতে এগিয়ে আসবে। কৃষিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে—এতে সংশয়ের কোনো অবকাশ নেই।

 

 

 

সারাদেশে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ১৩ হাজার কৃষি কর্মী আছেন। আর কৃষি পরিবার রয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ। এই বিপুল সংখ্যক কৃষি পরিবারেরর মধ্যে আধুনিক লাগসই প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে ই-কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ই-কৃষি হলো-ইলেকট্রনিক প্রবাহের মাধ্যমে কৃষিবিষয়ক তথ্য সরবরাহের একটি আধুনিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারনেট, রেডিও, টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন ইত্যাদি ইলেকট্রকি যন্ত্রের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে কৃষির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য নির্ভরযোগ্যভাবে কৃষক, কৃষি উপকরণ ও পণ্য ব্যবসায়ী, গবেষক, সম্প্রসারণ কর্মী, পরিকল্পনাবিদ এবং ভোক্তা ইত্যাদি গোষ্ঠির কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।

 

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়—মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট কৃষকের জন্য বিনামূল্যে অনলাইন সার সুপারিশ সেবা চালু করেছে। বাংলাদেশের সব অঞ্চলের মাটি গবেষণা করে দীর্ঘ ৫ বছরের চেষ্টায় ফসলের অধিক উৎপাদন ও সুষম মাত্রার সার প্রয়োগের লক্ষ্যে একটি সফটওয়্যার উদ্ভাবন করে এই প্রতিষ্ঠানটি। সফটওয়্যারের মাধ্যমে জানা যাবে কৃষি জমিতে কোনো সার কী পরিমাণ প্রয়োগ করতে হবে? এই অনলাইন ফার্টিলাইজার রিকমেন্ডেশন সিস্টেম সফটওয়্যার ব্যবহার করে মাটির পুষ্টিমানের তথ্য, ফসলের পুষ্টি চাহিদা ও সারে পুষ্টি উপাদানের পরিামাণ বিশ্লেষণ করে সার প্রয়োগের নির্দেশনা পাবে কৃষক। এর ফলে ফসল ভেদে ২০ থেকে ৩০ ভাগ ফলন বাড়বে।

গাছের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। রোগ-বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হবে। উৎপাদন খরচ হ্রাস পাবে। মাটির স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। তাই এই সেবা কৃষকের কাছে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন। ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র, বাংলালিংকের ৭৬৭৬ নম্বরে ফোন করে অথবা গ্রামীণ সিআইসি থেকে যেকেউ এই সেবা গ্রহণ করতে পারেন।

 

পরিবেশ দূষণের সাথে সাথে অভিযোজনের জন্য বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে নীতি নির্ধারণ ও কয়েকটি আইন প্রণয়ন করছে। এগুলোর মধ্যে জাতীয় পরিবেশ নীতি (১৯৯২), জাতীয় পরিবেশ এ্যাকশন প্লান (১৯৯২), বন নীতি (১৯৯৪) বনায়ন মাস্টার প্লান (১৯৯৩-২০১২) ইত্যাদি প্রধান।

 

উল্লেখযোগ্য আইনের মধ্যে আরও রয়েছে মৎস্য সংরক্ষণ আইন (১৯৮৯) ইত্যাদি। এসব আইন বিভিন্নভাবে কৃষিতেও পরিবেশ দূষণ রোধে সহায়ক। জলবায়ু পরবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলা ও অভিযোজন কর্মসূচি ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে সরকার নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলার জন্য গৃহীত উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলো হলো

১। পরিবর্তিত জলবায়ু উপযোগী ধানভিত্তিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প।

 

২। জামালপুর ও শেরপুর জেলার চর এলাকার নাজুক কৃষকদের খাদ্য নিরাপত্তা ও খামারের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প।

 

৩। জলবায়ুপরিবর্তনে চরম হুমকির মূখে প্রতিকূল পরিবেশে অবস্থানকারী নারী ও শিশুর জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ ও সামাজিক সুরক্ষাকরণ প্রকল্প।

 

৪। জলাভূমি, বন পুনরুদ্ধার ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ প্রকল্প।

 

৫। উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন প্রকল্প।

 

৬। পোল্ডার ৫ এর বেড়ি বাধ ও অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা প্রকল্প।

 

৭। মাল্টিপারপাস সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প।

 

৮। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় ( ) জলাভূমির বন পুনরুদ্ধার ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ প্রকল্প এবং ( ) উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন প্রকল্প। রবির বাবার ২ বিঘা কৃষি জমি আছে.

 


Tuesday, June 22, 2021

HSC English Assignment Solution | second week | English First Paper

 

English Assignment

Download PDF

Video Discussion

follow our Facebook page 


A short story that I have read

Choosing a short story

I read an interesting short story written by William somerset Maugham named

 “The Luncheon”

Summary of the story:

The story is about a lady admirer of the speaker. The speaker is a young writer who received a letter from a lady who highly praised his writing. The speaker also replied thanking her. One day the speaker met the lady in a five-star hotel. He was not to rich but he was flattered. He   had 80 francs. He thought that he could manage the lunch easily he requested the lady to choose the food item from the menu book. She assured that she does not eat much food so the speaker ordered salmon fish though that was expensive later the speaker asked if she liked anything. The lady replied that she liked carviare though it was horribly expensive. Then she enjoyed white champagne, asparagus, coffee and finally the salmon.  The speaker was sweating. He was too anxious if he could pay the bill or not. He did not take anything expect a mutton chop. Finally, he manages the lunch paying the total amount of whole month.

 

 

 

 

What I liked and what I didn’t liked:

 

I like the way the speaker narrates the story. He uses metaphors in the story. As first person narrator the speaker easily depicts the inner feeling of the character. The speaker also shows humors narrating the story. For expect an example at the end of the story. He mentions today she weight twenty – one stone.

There are a number of climax in the story. I do not like that flat line of the climax graph. It is not too high. It could be more interesting.

 

My change in the story:

If someone asked me to change the story than I would increase the flat line of the climax graph in high. Finally, I would make the story more interesting to the reader.

 

Concluding Statement:

See the video


HSC Accounting Assignment Solution | Second Week | Accounting 2nd Assignment



একাদশ শ্রেনীর এসাইনমেন্ট হিসাববিজ্ঞান




Download PDF


Video Discussion


follow our Facebook page  

HSC Civics Assignment Solution | পৌরনীতি ও সুশাসন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান | 2nd Week | 2nd Assignment

 

Civics 2nd week

অ্যাসাইনমেন্ট ২:

 প্রথম অধ্যায়: ব্রিটিশ ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল সরকারের বিকাশ


Download PDF


Video Discussion


follow our Facebook page 





নির্দেশনা বা সংকেত

·         বঙ্গভঙ্গের কারণ, ফলাফল

·         মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব

·         দ্বি-জাতি তত্ত্ব ও লাহর প্রস্তাবের বৈশিষ্ট্য ও তাৎপর্য

শিরোনামঃ

লাহোর প্রস্তাবের প্রেক্ষাপটে বঙ্গভঙ্গ, মুসলিমলীগ এবং দ্বি-জাতিতত্ত্বের উপর নিবন্ধ লেখা হলো

বঙ্গভঙ্গঃ

বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বঙ্গভঙ্গ ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতিতে একটি অনন্য সাধারন ঘটনা। তদানীন্তন ভারতের সর্ববৃহৎ ‘বাংলা প্রদেশ’ নামক প্রদেশকে বিভক্ত করে ‘বঙ্গভঙ্গ ও আসাম’ প্রদেশ নামে নতুন দুটি প্রদেশে বিভক্ত করাকে বঙ্গভঙ্গ বলে।

বঙ্গভঙ্গের কারণঃ

১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের কারণ সমূহ আলোচনা করার পূর্বে ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ বাংলাকে বিভক্ত করার পক্ষে যেসব দাবিও যৌক্তিকতা তুলে ধরেন সে সম্পর্কে আলোকপাত করা প্রয়োজন। নবাব সলিমুল্লাহর যুক্তিগুলো নিম্নরূপঃ-

১. তৎকালীন সময় হিন্দু সম্প্রদায় শিক্ষা ও সম্পদে অত্যন্ত অগ্রগামী ছিল বিধায় সরকারি চাকরি ও ব্যবসা-বাণিজ্যর কর্তৃত্ব তাদের হাতেই ন্যস্ত ছিল।

২. হিন্দু জমিদার শ্রেণী মূলত কলকাতায় বসবাস করতেন এবং পূর্ববঙ্গ থেকে অর্থ উপার্জন করে কলকাতায় ব্যয় করতেন।

৩. তৎকালে কলকাতা বাংলা প্রদেশের রাজধানী হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য শিল্পকারখানাগুলো কলকাতাকে কেন্দ্র করেগড়ে ওঠে এর ফলে যে সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি হয় তা থেকে পূর্ববঙ্গের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী বঞ্চিত হয়।

৪. রাজধানী কোলকাতা ছিল রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র এবং নেতৃত্ব ছিল হিন্দুদের হাতে।

৫. জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে হিন্দুদের অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকা সকল সুযোগ-সুবিধা তারাই ভোগ করত। এক্ষেত্রে পূর্ববঙ্গের মুসলমান সম্প্রদায় ছিল পশ্চাৎপদ।

লর্ড কার্জন উল্লেখিত যুক্তিসমূহ ও বাস্তব সুবিধার কথা বিচার বিশ্লেষণ করে বঙ্গকে ভাগ করার উদ্যোগ নেন। তবে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন যে, ব্রিটিশ সরকারের বঙ্গভঙ্গের পশ্চাতে মূলত প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কারণ মুখ্য ছিল। এ সম্পর্কে নিচে সবিস্তারে আলোকপাত করা হলো –

১। প্রশাসনিক কারণঃ

বঙ্গকে বিভক্ত করার প্রশাসনিক যুক্তি দেখিয়ে ১৯০২ সালে লর্ড কার্জন ভারত সচিবকে লিখেন যে, বঙ্গ প্রদেশের আয়তন ২,০০,০০০ বর্গমাইল এবং জনসংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৮৫ লক্ষ। এ বিশাল আয়তন এবং বিপুল জনসংখ্যা অধ্যুষিত বাংলাকে একজন প্রশাসকের পক্ষে সুচারুরূপে শাসন করা সম্ভব নয়। পক্ষান্তরে, প্রতিবেশী আসাম প্রদেশ ছিল অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র এবং জনসংখ্যা ছিল কম।এজন্য বাংলাকে বিভক্ত করে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিভাগ ও আসাম কে নিয়ে ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম’ নামে একটি নতুন প্রদেশ সৃষ্টি করা হয় যার রাজধানী হয় প্রাচীন শহর ঢাকা।

২। রাজনৈতিক কারণঃ

বাংলাকে বিভক্ত করার পশ্চাতে আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ ছিল রাজনৈতিক। রাজনৈতিক কারণের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো হলো –

জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষঃ

১৮৮৫ সালের ভারত দরদী ইংলিশ স্যার অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম এর নিরলস প্রচেষ্টায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় ভারতের হিন্দু সমাজ সচেতন হয়ে ওঠে এবং ধীরে ধীরে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন গড়ে তুলে। এতে ব্রিটিশ সরকার হকচকিত হয়ে প্রশাসনিক সংকটে পড়ে যায়। এরূপ জাতীয়তাবাদী চেতনা ও সন্ত্রাসবাদি আন্দোলনকে দমন করার জন্য ব্রিটিশ সরকার বাংলাকে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

ভাগ কর ও শাসন করঃ

ব্রিটিশ সরকার Divide and rule নীতিতে বিশ্বাসী। তাই বাংলাকে বিভক্ত করে একটি সম্প্রদায়কে নিজেদের অনুকূলে রেখে অপর সম্প্রদায়কে শাসন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে।

মুসলমানদের উন্নতি সাধনের প্রয়াসঃ

অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে মুসলমান সামন্ত শ্রেণি মুসলমানদের স্বার্থ সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে। অপরদিকে স্যার সৈয়দ আহমদ আলীগড় আন্দোলনের মাধ্যমে মুসলমানদের স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা চালান। ফলে ব্রিটিশ সরকার তাদের স্বার্থ সম্বন্ধে সচকিত হয়ে ওঠে।

৩। অর্থনৈতিক কারণঃ

তৎকালীন প্রেসিডেন্সির (বাংলা, উড়িষ্যা, বিহার ও ছোটনাগপুর) রাজধানী কলকাতাকে কেন্দ্র করে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠে। পূর্ব বাংলায় পাট উৎপন্ন হলেও পাটকলগুলো গড়ে ওঠে কলকাতায়। ফলে কলকাতা অল্পদিনের সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠে। অন্যদিকে, পূর্ব বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় হয়ে থাকে। এরূপ অবস্থায় হাত থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব মি. রিজালী প্রশাসনিক ও রাজস্ব আদায়ের সমস্যার কথা উল্লেখ করে বড়লাটকে পত্র লেখেন। উক্ত পত্রের যৌক্তিকতা বিচার করে বাংলা ভাগ করা হয়।

৪। সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক কারণঃ

হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের সামাজিক ঐতিহ্য ও ধর্মীয় রীতিনীতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই পূর্ববঙ্গের মুসলমানগন নিজেদের সামাজিক ও ধর্মীয় আদর্শ ভিত্তিতে নতুন প্রদেশের সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যাশা করে।

বঙ্গভঙ্গের ফলাফলঃ

বঙ্গভঙ্গের ফলাফল সাময়িক হলেও বিশেষ করে পূর্ববঙ্গের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান সম্প্রদায় বেশি লাভবান হয়েছিল। নিচে বঙ্গভঙ্গের ফলাফল সবিস্তারে আলোচনা করা হলোঃ-

১। মুসলমানদের প্রতিক্রিয়াঃ

বঙ্গভঙ্গের ফলে ঢাকা নতুন প্রদেশের তথা ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম’ এর রাজধানী হয়। রাজধানী ঢাকাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান অফিস-আদালত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। ফলে মুসলমানগন নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা লাভে সক্ষম হয়। অফিস-আদালত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বড় বড় সুরম্য অট্টালিকা গড়ে ওঠায় ঢাকার শ্রী বৃদ্ধি ঘটে। বঙ্গভঙ্গ মুসলমানগন তাদের গৌরব ও মর্যাদা ফিরে পাবার আনন্দে মেতে ওঠে। বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ব বাংলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের দ্বার উন্মোচিত হয়।

২। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়াঃ

বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে হিন্দুদের অবস্থান ছিল খুবই কঠিন। বাংলার উচ্চ ও মধ্যবিত্ত হিন্দুরাই এর বিরুদ্ধে প্রচন্ড ঝড় তুলেছিল। কলকাতার আইনজীবী সমিতির মনে করলো বঙ্গভঙ্গের অর্থ নতুন প্রদেশ হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠা করা।

৩। মুসলিম লীগের জন্মঃ

নতুন প্রদেশের অস্তিত্ব রক্ষা এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে ১৯০৬ সালে ঢাকায় ‘মুসলিম লীগ’ নামক রাজনৈতিক সংগঠনের জন্ম হয়।

৪। স্বদেশী আন্দোলনঃ

বঙ্গভঙ্গ রদ করার জন্য হিন্দু জনগণ এবং কংগ্রেস স্বদেশী আন্দোলনের ডাক দেয়। আন্দোলনকারীরা বিলেতি দ্রব্য বর্জন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত বর্জনের ডাক দেয়। ফলে কলকারখানার উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

৫। হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কের অবনতিঃ

বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ব বাংলার জনগণ খুশি হলেও হিন্দু সম্প্রদায় খুশি হয়নি। এজন্যই বঙ্গভঙ্গ রোধ করার জন্য হিন্দু জনগণ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন শুরু করে। হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে তিক্ত সম্পর্কের সৃষ্টি হয়।

৬। ঢাকার উন্নয়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধি করেনঃ

দীর্ঘদিন পর ঢাকা আবার রাজধানীর মর্যাদা লাভ করে। ঢাকার প্রাদেশিক রাজধানী প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ফলে এখানে হাইকোর্ট ভবন, সেক্রেটারিয়েট ভবন, আইনসভা ভবন নির্মাণ, পুরনো ভবন ও রাস্তাঘাট সংস্কার এবং নতুন নতুন প্রশাসনিক ভবন রাস্তাঘাট নির্মিত হতে থাকে। ফলে ঢাকার ক্ষমতা মর্যাদা প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।

৭। শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নঃ

বঙ্গভঙ্গের পর পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের শিক্ষার উন্নয়নের সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। উচ্চ শিক্ষার উন্নয়নে সিলেট মুরারিচাঁদ কলেজ কে সরকারিকরণ, জগন্নাথ কলেজকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নতিকরণ, বেসরকারি কলেজগুলোর অনুদান প্রদান, মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়ন এবং নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়।

 

মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট ও গুরুত্বঃ

মুসলিম লীগঃ

ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ভারতের মুসলমানগন কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে কাজ করতে থাকে। কিন্তু কংগ্রেসের বড় নেতারা মুসলমানদের জাতীয়তাবোধ নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন এবং মুসলমান বিরোধী কার্যকলাপ শুরু করেন। এ অবস্থায় ভারতের মুসলিম নেতৃবৃন্দ উপলব্ধি করেন কংগ্রেসের মাধ্যমে তাদের স্বার্থ রক্ষায় সম্ভব হবে না।কি অবস্থায় মুসলমানদের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার আদায়ের লক্ষে ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ গঠন করা হয়।

প্রেক্ষাপট ও গুরুত্বঃ

মুসলিম লীগ একটি স্বতন্ত্র রাজনৈতিক সংগঠন। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে মুসলমানদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সংগঠনের জন্ম হয়। এর সংগঠনের আলো ভাবের পেছনে যেসব গঠনেও কারণ নিহিত ছিল তার নিচে তুলে ধরা হলো-

স্যার সৈয়দ আহমদ খান এর ভূমিকাঃ

ঐতিহাসিক আলীগড় আন্দোলনের নেতা এবং উপমহাদেশের বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব স্যার সৈয়দ আহমদ খান ভারতীয় মুসলমানদের রাজনৈতিক লক্ষ্য উদ্দেশ্য সাধনের জন্য অনেক আন্দোলন সংগ্রামে নিজেকে ব্যাপৃত রাখেন। তিনি মুসলমানদের ভারতীয় কংগ্রেস এ যোগদান এর বিরোধিতা করেন। কারণ তিনি অনুভব করেন যে কংগ্রেসের মাধ্যমে মুসলমানদের স্বার্থের প্রতিফলন ঘটবে না। আবার কংগ্রেসের কতিপয় মুসলমান বিরোধী কর্মকাণ্ডের ফলে কংগ্রেসে মুসলমানদের যোগদান আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পায়।

মুসলমানদের জন্য পৃথক নির্বাচন নীতি স্বীকৃতঃ

১৯০৬ সালের অক্টোবর মাসে আগা খানের নেতৃত্বে কতিপয় মুসলমান প্রতিনিধি ভারতের তৎকালীন গভর্নর জেনারেলের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তারা মুসলমানদের জন্য পৃথক নির্বাচনের দাবি জানান। গভর্নর-জেনারেল সহানুভুতির সাথে উক্ত দাবির বিবেচনা করেন। এতে উৎসাহিত হই মুসলমানগন একটি মুসলিম সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।

সর্বভারতীয় শিক্ষা সম্মেলন ও মুসলিম লীগের জন্মঃ

১৯০৬ সালে ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে ঢাকায় All India Muslim Education Conference অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন শেষে নবাব ভিখারুল মুলক এর সভাপতিত্বে একটি রাজনৈতিক সভার আয়োজন করা হয় । উক্ত সভায় ভাষণে তিনি বলেন, মুসলমানদের প্রতি হিন্দুদের দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষ করে ভারতীয় কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গি তারা লক্ষ্য করেছেন এবং তা বঙ্গভঙ্গের সময় সুস্পষ্টরূপে প্রতিভাত হয়।

মুসলমানদের জন্য পৃথক নির্বাচন প্রয়োজন এবং ব্রিটিশ সরকার তা দিতেও সম্মত হয়েছেন কিন্তু এর পূর্বে যা প্রয়োজন তা হলো একটি সংগঠন গড়ে তোলা।

দ্বিজাতি তত্ত্ব ও তাৎপর্যঃ

ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন জাতি ও রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে ভারতকে রাজনৈতিকভাবে দ্বিধাবিভক্ত করার নির্ণায়ক আদর্শাশ্রয়ী একটি রাজনৈতিক মতবাদ। ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসন অবসানের প্রাক্কালে বিশ শতকের চল্লিশের দশকে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত্বের ধারণার উন্মেষ ঘটান।এ তথ্যের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটে।

অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত্বই ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব উত্থাপনের ভিত্তি তৈরি করেছিল । কংগ্রেস সভাপতি পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু ঘোষণা করেন যে, ভারতীয় উপমহাদেশে কেবল দুটি দলের অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়। একটি হলো কংগ্রেস এবং অপরটি হলো সরকার এবং বাকি দলগুলো কংগ্রেস অন্তর্ভুক্ত। মুসলমান মৃত্যুদণ্ড অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ হিন্দু-মুসলিম সমস্যা সমাধানের জন্য হিন্দু নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ আলোচনা করেও ব্যর্থ হন। পরে জিন্নাহ উপলব্ধি করেন যে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে ঐক্যবদ্ধ থাকলে মুসলমানের স্বার্থ রক্ষা পাবে না।

১৯৪০ সালের ২২ মার্চ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অধিবেশনে সভাপতির ভাষণ দ্বিজাতি তত্ত্বের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন এভাবে, ভারতবর্ষের দুটি পৃথক জাতির বসবাস হিন্দু ও মুসলমান মুসলমানের কৃষ্টি স্বতন্ত্র, কালচার স্বতন্ত্র, আশা-আকাঙ্ক্ষা স্বতন্ত্র, তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য ও স্বতন্ত্র।সুতরাং জাতীয়তা যেকোনো মানদণ্ড অনুযায়ী ভারতের মুসলমানরা একটি জাতিএভাবে মুসলমানদের জন্য স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে জোরালো যুক্তি তুলে ধরা হয়। যার প্রতিফলন ঘটে ১৯৪০ সালের ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবে। পরবর্তীতে এ দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতেই ১৯৪৭ সালেপাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

লাহোর প্রস্তাবের বৈশিষ্ট্য ও তাৎপর্যঃ

লাহোর প্রস্তাবঃ

১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোরে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের বার্ষিক সম্মেলনে বাংলার কৃতি সন্তান শেরে বাংলা একে ফজলুল হক যে প্রস্তাব পাস করেন সে প্রস্তাব লাহোর প্রস্তাব নামে খ্যাত।লাহোর প্রস্তাবে বলা হয়, ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী সন্নিহিত স্থানসমূহকে অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। প্রয়োজনমতো সীমা পরিবর্তন করে যেসব স্থানে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ সেসব অঞ্চলসমূহের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।এসব স্বাধীন রাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলো হবে স্বায়ত্তশাসিত সার্বভৌম। রাহুল প্রস্তাবের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালের ১৪আগস্ট ভারত বিভক্ত হয়ে দুটি রাষ্ট্রের রূপান্তরিত হয়।

বৈশিষ্ট্য ও তাৎপর্যঃ

১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোরে All India Muslim League -এর ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নির্ধারণে জন্য যে অধিবেশন আহ্বান করা হয় ঐ অধিবেশনের লাহোর প্রস্তাব গৃহীত হয়।

নিচে লাহোর প্রস্তাবের মূল বৈশিষ্ট্য সমূহ তুলে ধরা হলো –

১. ভারতবর্ষকে বিভক্ত করে এর উত্তর-পশ্চিম ও পূর্ব অঞ্চলে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা গুলো নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহ গঠন করতে হবে।

২. উল্লিখিত স্বাধীন রাষ্ট্র সমূহের অধীন ইউনিট বা প্রদেশগুলো স্বায়ত্তশাসিত ও সার্বভৌম হবে।

৩. ভারতের অন্যান্য হিন্দু অঞ্চলগুলোর সমন্বয়ে পৃথক হিন্দু রাষ্ট্র গঠিত হবে।

৪. সংখ্যালঘু সম্প্রদায়েরপ্রস্তাবের তাৎপর্য সাথে পরামর্শ ভিত্তিতে তাদের স্বার্থ অধিকার ও রক্ষার জন্য সংবিধানের পর্যাপ্ত ক্ষমতা রাখতে হবে।

৫. প্রতিরক্ষা, পরস্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ ইত্যাদি বিষয়ে ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট অঙ্গরাজ্যগুলোর উপর ন্যস্ত থাকবে।

তাৎপর্যঃ

ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব অবিভক্ত ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে অনন্যসাধারণ ভূমিকা পালন করে। লাহোর প্রস্তাব গৃহীত হবার পর মুসলিম লীগের রাজনীতিতে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ উপস্থিত হয়।

মুসলমানের মধ্যে ধর্মভিত্তিক জাতীয়তা বোধ জাগ্রত হয়। অপরদিকে হিন্দুরা লাহোর প্রস্তাবকে মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেনি। গান্ধীর মতে, লাহোর প্রস্তাব মেনে নেওয়ার অর্থ ‘ভারতকে ব্যবচ্ছেদ করা ‘এবং তা হবে একটি’ পাপ কাজ’।

জওহরলাল নেহেরু বলেন, লাহোর প্রস্তাব মেনে নিলে ভারত বই পড়বে বলকান রাষ্ট্র গুলোর ছোট ছোট রাষ্ট্রে বিভক্ত কর্তৃত্ববাদী পুলিশী রাষ্ট্র। লাহোর প্রস্তাব কে মুসলিম লীগ বিরোধী পত্রিকাগুলো ‘পাকিস্তান প্রস্তাব’ বলে অভিহিত করে সমালোচনা শুরু করে।

তাদের অপবাদই পরে মুসলিম লীগের জন্য সুবাদে পরিণত হয়। লাহোর প্রস্তাব ‘পাকিস্তান প্রস্তাব’ নামে পরিচিতি অর্জন করে। লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতেই ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হয়।

 

Featured Post

২০২৫ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস

  ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস (২০২৩ সালের সিলেবাসের অনুরূপ) পত্রিকার খবরের লিঙ্ক     ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস (২০২৩ সালের...

Powered by Blogger.