Friday, June 18, 2021

HSC Economics Assignment Answer Exam 2022 batch

 

HSC Economics Assignment Answer Exam 2022 Batch 


 

Download PDF

Video Discussion

Merit Academic care
Jashore

01792-043563

 

এইচএসসি অর্থনীতি ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট

 

অ্যাসাইনমেন্টঃ হাওর এলাকার কৃষক সালামত সাহেবের একখন্ড জমিতে ধান ও গম উৎপাদনের নিন্মরূপ বিকল্প সম্ভাবনা অনুসৃত হয়েছে।

যেমন: ধান উৎপাদন যখন ১৬, ১০ ও ০ মন হয়, তখন উৎপাদন হয় যথাক্রমে ০, ১০, ১৬ মন। প্রাপ্ত তথ্যের আলকে উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার অর্থনৈতিক তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।

 

শিখনফল ও বিষয়বস্তুঃ (প্রথম অধ্যায়ঃ মৌলিক অর্থনীতির সমস্যা ও এর সমাধান)

 

নির্দেশনা বা সংকেত

 

১। উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা এর ধারণা

২। উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা এর চিত্রাঙ্কন

৩। অ-অর্জনযগ্য, পূর্ণনিয়োগ ও সম্পদের অপূর্ণ ব্যবহার

৪। শিল্প প্রধান এবং কৃষি প্রধান অর্থনীতির ক্ষেত্রে উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা

৫। প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার অর্থনৈতিক তাৎপর্য বিশ্লেষণ

 

 

 

 

মূল্যায়ন নির্দেশনা (রুবিক্স)

নির্দেশক

উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা এর ধারণার ব্যাখ্যা

যথাযথ ভাবে ব্যাখ্যা করেছে

অধিকাংশ ক্ষেত্রে যথাযথ ভাবে ব্যাখ্যা করে

আংশিক ক্ষেত্রে যথাযথ ভাবে ব্যাখ্যা করেছে

ধারণার ব্যাখ্যা যথাযথ নয়

উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা এর চিত্রাংকন ও ব্যাখ্যা

যথাযথভাবে অংকন করেছে

অধিকাংশ ক্ষেত্রে যথাযথ ভাবে অংকন করেছে

আংশিক ক্ষেত্রে যথাযথ ভাবে অংকন করেছে

রেখাচিত্র অংকন যথাযথ নয়

উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা থেকে ও অ-অর্জনযোগ্য পূর্ণনিয়োগ ও সম্পদের অপূর্ণ ব্যবহার

ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যথাযথভাবে প্রদর্শন করেছে

অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যথাযথভাবে প্রদর্শন করেছে

আংশিক ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যথাযথভাবে প্রদর্শন করেছে

ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রদর্শন যথাযথ নয়

শিল্প প্রধান এবং কৃষি প্রধান অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা

চিত্র যথাযথভাবে ব্যাখ্যা করেছে

চিত্র অধিকাংশ ক্ষেত্রে যথাযথ ভাবে ব্যাখ্যা করেছে

চিত্র আংশিক ক্ষেত্রে যথাযথ ভাবে ব্যাখ্যা করেছে

চিত্র ব্যাখ্যা যথাযথ নয়

প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা অর্থনৈতিক তাৎপর্য বিশ্লেষণ

বিশ্লেষণ যথাযথ ও উপস্থাপনা সৃজনশীল

অধিকাংশ ক্ষেত্রে যথাযথ ও উপস্থাপনা সৃজনশীল

আংশিক ক্ষেত্রে যথাযথ ও উপস্থাপনা সৃজনশীল

বিশ্লেষণ যথাযথ নয় ও উপস্থাপনায় সৃজনশীলতার অভাব

 

 

 

উত্তরঃ

উৎপাদন সম্ভাবনা রেখাঃ

উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা হল এমন একটি রেখা যার বিভিন্ন বিন্দুতে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ ও চলতি প্রযুক্তির সাপেক্ষে দুটি উৎপন্ন দ্রব্যের সম্ভাব্য বিভিন্ন সংমিশ্রণ নির্দেশ করে। এই রেখাটি PPC (Product Possibility curb )রেখা নামে বেশি পরিচিত। অভাব অসীম এবং সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা সব অভাব একসাথে পূরণ করতে পারি না। তবে দুপ্রাপ্যতার সমস্যা এবং নির্বাচনের প্রয়োজনীয় উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার সাহায্যে ব্যাখ্যা করতে। পারি। অর্থাৎ বর্তমান সম্পদ ও প্রযুক্তির সাহায্যে সমাজে কোন দ্রব্য কি পরিমান উৎপাদন করা হবে তা আমরা এই উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা হতে জানতে পারিএ প্রসংগে অধ্যাপক লিপসি বলেন, “উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা হল এমন একটি রেখা যা বিভিন্ন দ্রব্যের এমন বিকল্প সমন্বয়সমূহ প্রকাশ করে যেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে অর্জন করা সম্ভব যদি প্রাপ্ত উৎপাদিত সম্পদের সবটুকুই ব্যবহার করা যায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

২। উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা এর চিত্রাঙ্কন











চিত্রে AB একটি উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা।A বিন্দুতে X (ধান) দ্রব্যের উৎপাদন শুন্য এবং B বিন্দুতে Y এর (গমের) উৎপাদন শূন্য। Y দ্রব্যের A B এর মাঝে উভয় দ্রব্যের উৎপাদন নির্দেশিত। যেমন: R বিন্দুতে X এর উৎপাদন ১৬ মণ, এবংY এর উতপাদন ০ মণ। Q বিন্দুতে X (ধান) এর উৎপাদন ১০ ও Y (গম) এর উৎপাদন ১০ এবং R বিন্দুতে X (ধান) এর উৎপাদন ০ মণ। ও Y (গম) এর উৎপাদন ১৬ মণ।

অতএব,

এখানে সালামত সাহেব যদি ১৬ মণ ধান উৎপাদন করে তাহলে তার গম উৎপাদন হয় শূন্য অর্থাৎ তার গম উৎপাদন ছেড়ে দিতে হয়। এবং সে যদি ১৬ মণ গম উৎপাদন করে তাহলে তার ধানের উৎপাদন হয় শুন্য এক্ষেত্রে তাকে ধান উৎপাদন ছেড়ে দিতে হয়। এক্ষেত্রে তার ১৬ মণ ধান উৎপাদন হচ্ছে ১৬ মণ গম উৎপাদনের সুযােগ ব্যয় এবং তার ১৬ গম। উৎপাদন ১৬ মণ ধান উৎপাদনের সুযােগ ব্যয়। সুতরাং এভাবে উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার মাধ্যমে দুপ্রাপ্যতা ও অসীম অভাব এর মাধ্যমে সৃষ্ট সমস্যাটি ব্যাখ্যা করা যায়।

 

 

৩। অ-অর্জনযগ্য, পূর্ণনিয়োগ ও সম্পদের অপূর্ণ ব্যবহার





ক. চিত্র থেকে আমরা বুজতে পারি যে, প্রদত্ত সম্পদ সাপেক্ষে X Y দ্রব্যের উৎপাদন N বিন্দুতে অর্জন করা সম্ভব নয়, কিন্তু M বিন্দুতে অর্জন করা সম্ভব। কিন্তু তা হবে অপূর্ণ নিয়োগ যা বেকারত্ব নির্দেশ করবে।পক্ষান্তরে  I, J, K বিন্দুতে সম্পদ সম্পূর্ণ নিয়োজিত তথা পূর্ণ নিয়োগ অবস্থা নির্দেশ করা হয়, বিন্দুগুলোর কোনোটিতে সর্বোচ্চ উৎপাদন নির্দেশ করা যায়। তাই উৎপাদন সম্ভবনা রেখাকে অর্জনযােগ্য উৎপাদন সম্ভবনা সীমান্ত (Production Possibility Frontier বা PPE) রেখা বলা হয়।

খ। সম্পদের স্বল্পতার প্রেক্ষিতে দক্ষ ব্যবহার নির্বাচন মানব জীবনে অসীম অভাব পূরণে যে সল্প বা সীমিত

সম্পদ ও সুযোগ বিদ্যমান , তার দক্ষ ব্যবহার ধারণাটি PPC রেখার মাধ্যমে উপলব্ধি করা যায় চিত্র থেকে

বােঝা যায়, AB উৎপাদন সম্ভবনা রেখা সম্পদের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে। AB রেখার মধ্যে I ,J বা K বিন্দুতে উৎপাদন করা হলে সম্পদ – এর দক্ষ বা পূর্ণমাত্রার ব্যবহার বােঝায়। M বিন্দুতে উৎপাদন করা হলে তা সম্পদের অদক্ষ বা অপূর্ণ ব্যবহার নির্দেশ করে।

 

৪।শিল্প প্রধান এবং কৃষি প্রধান অর্থনীতির ক্ষেত্রে উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা



সম্ভাবনা রেখাঃ





চিত্রে ভুমি অক্ষে কৃষি এবং লম্ব অক্ষে শিল্প । AA যুক্তরাষ্ট্র  BB বাংলাদেশের উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা নির্দেশ করে । চিত্র থেকে বঝা যায় যুক্তরাষ্ট্র অর্থনীতি শিল্প নির্ভর এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষি নির্ভর।


৫। প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার অর্থনৈতিক তাৎপর্য বিশ্লেষণ

উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা সীমিত সম্পদের গণ্ডির মধ্যে উৎপাদন চালিয়ে যাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে । অর্জন যোগ্য এবং অ-অর্জনযোগ্য অঞ্চল নির্ধারণের মাধ্যমে বেকারত্ব নির্ধারণ । অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক মন্দা নির্ধারণ। সুযোগ ব্যয় সম্পর্কে ধারণা । উন্নত এবং অনুন্নত দেশের অর্থনীতি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে থাকে ।

পরিশেষে বলা যায় অর্থনীতিতে উৎপাদন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে বিবেচিত উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা অঙ্কনের মাধ্যমে উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায় সম্পর্কে ধারণা পওয়া যায় ।


Thursday, June 17, 2021

HSC Physics Assignment Answer Exam 2022 batch

 

HSC Physics Assignment Answer Exam 2022 Batch 

পদার্থ বিজ্ঞান

অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান


 


Download PDF

Video Discussion

HSC Bangla Assignment Answer

 

HSC Bangla Assignment Answer 2021

বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট


" অপরিচিতা " গল্প এবং বাস্তব দৃষ্টান্তের ভিত্তিতে নারীর এগিয়ে চলার পথে সহায়ক ভূমিকা চিহ্নিতকরণ

 

Download PDF

video Discussion


১) অপরিচিতা গল্পে কল্যাণীর সংকট হলো সঠিক সময়ে বিবাহ না হওয়া।

 

মেয়ের বয়স পনেরো শুনে লেখকের মামার মন ভার হলো। কারণ তিনি মনে করলেন যে, ঐ মেয়ের বংশে কোন দোষ আছে। তখন আট থেকে দশ বছর বয়সের মধ্যে কন্যার বিয়ে দেওয়ার রীতি ছিল। এ সময়ের মধ্যে মেয়ের বিয়ে না হলে মনে করা হতো যে মেয়ের বংশে কোন দোষ আছে। যে কারণে মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না। যে মেয়ের সাথে অনুপমের বিয়ের কথা চলছিল তার বয়স পনেরো। পনেরো বছর বয়সেও মেয়ের বিয়ে হয়নি,এমনটি ভেবে অনুপমের মামার মন ভার হলো।

কল্যাণী উচ্চশিক্ষিতা,রুচিশীল মেয়ে। শিক্ষকতাকে তিনি জীবনের ব্রত হিসাবে নিয়েছেন। তার শিক্ষাদীক্ষার কারণে বিবাহের সংকট দৃঢ়তার সাথে মোকাবেলা করেছেন।


 ২)অপরিচিতা গল্পে কল্যাণী ছিল বেশ সুন্দরী ও প্রাণচঞ্জল। আর পিতা শম্ভুনাথ বাবু ছিলেন স্পষ্টভাষী ও একজন সুপুরুষ ব্যক্তি, অন্যদিকে অনুপমের মামা বিয়ের পণ, যৌতুক সম্পর্কে কোন প্রকার ছাড় বা আপস করতে রাজি নন। এখানেই গল্পের কাহিনী জটিলতায় রূপ নেয়। রীতিমতো বেশ আয়োজনের মধ্যে দিয়ে যদিও বিয়ের কাজ শুরু হয়েছিল,কিন্তু এক পর্যায়ে দেনা পাওনা কারণে সব আনন্দ আয়োজন এক মুহুর্তেই ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় অথ্যাৎ যৌতুকের জন্য বিয়ে ভেঙ্গে যায়।এই গল্পে অনুপমের চরিত্রের সীমাহীন দুর্বলতা ও নিবুদ্ধিতার পরিচয় পাওয়া যায়। অনুপম ও তার মামা ভুমিকা যদি ইতিবাচক হতো তাহলে কল্যাণীর সংসার সুখময় হতো বলে আমি মনে করি।  বিবাহ ভেঙে যাওয়ায় প্রধান কারণ হলো অনুপমের দুর্বলতা ও তার মামা যৌতুক প্রবনতা।


 ৩) পঠিত গল্প অনুসারে নারীকে এগিয়ে চলার পথে প্রতিবন্ধকতাগুলো হলোঃ

ক) শিক্ষার অভাব

খ) কুসংস্কার

গ)ধর্মীয় গোঁড়ামি

ঘ) পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা

 

নারী উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় নিম্নে ব্যাখা করা হলোঃ

”বিশ্বে যা কিছু মহান চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।”

সাম্যবাদী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই সত্য উচ্চারণ করলেও আজও আমাদের সমাজে তার যথাযথ স্বীকারোক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও আজও মানুষের ধ্যান-ধারণার তেমন পরিবর্তন হয়নি। এখনও সমাজের প্রতিটি স্তরে স্তরে নারীদের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়।

 

অশিক্ষা, দারিদ্র্য আর কুসংস্কারে ডুবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীর প্রথম বাধাটা আসে পরিবার থেকে। অভিধানে ‘উন্নয়নে নারী বা নারী উন্নয়ন’ একটি অতি আধুনিক সংযোজন। এই ধারণা বৈশ্বিক ও জাতীয় পর্যায়ে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকার করে। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন দুটি বিষয়ই একটি অন্যটির পরিপূরক। নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে নারী উন্নয়ন বিষয়টি বিশেষ ভূমিকা রাখে।

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেই যেখানে নারীদের পদযাত্রায় বারবার হোঁচট খেতে হয়, সেখানে তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশের নারী হিসেবে বাঙালি নারীদের প্রতিটি পদক্ষেপে অনেক বেশি প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়। অশিক্ষা, কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামি, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা নারী উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। অথচ সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নারীরা আজ শুধু রান্নাঘরেই সীমাবদ্ধ নেই, নারীরা পৌঁছে গেছেন বিমানের ককপিট থেকে পর্বতশৃঙ্গে। দশভুজা নারী ঘরে-বাইরে নিজেকে আলোকিত করছেন নিজ প্রজ্ঞা আর মেধা দিয়ে। বর্তমানে এমন কোনো পেশা নেই যেখানে নারীর মর্যাদাপূর্ণ উপস্থিতি নেই। দেশে এখন প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দু’জন নারী। জাতীয় সংসদের স্পিকার একজন নারী। বর্তমানে সবক্ষেত্রেই রয়েছে নারীর পদচারণা।

 

নারীর সমাধিকার ও নারীমুক্তির কথা যতই বলা হোক না কেন- উন্নত, অনুন্নত, উন্নয়নশীল সব দেশেই নারীরা কম-বেশি সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার। সামাজিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও নারীর প্রতি সহিংসতার চিত্র সবক্ষেত্রে প্রায় একই। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশই নারী, কিন্তু নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে। খুব অল্প সংখ্যক নারীর মধ্যেই। তাদের অনেকেই নিজের সিদ্ধান্তে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারেন না এবং নিজের বস্তুগত ক্ষমতার পরিসরও স্বাধীনভাবে ব্যবহার করতে বাধাগ্রস্ত হন। নারীশিক্ষার বিষয়টি আমাদের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে অপরিহার্যভাবে জড়িত। নেপোলিয়ন বলেছিলেন, ‘আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি শিক্ষিত জাতি দেব।’ এ বিষয়ে আরবিতেও। একটি প্রবাদ আছে, ‘একজন পুরুষ মানুষকে শিক্ষা দেওয়া মানে একজন ব্যক্তিকে শিক্ষা দেওয়া। আর একজন নারীকে শিক্ষা দেওয়া মানে একটি গোটা পরিবারকে শিক্ষিত করে তোলা।’ তাই নারীশিক্ষার গুরুত্ব বর্ণনাতীত। তথাপি শিক্ষা ক্ষেত্রেও এ বৈষম্যের কোনো শেষ নেই। যদিও শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে এখন নারীদের অংশগ্রহণ শতভাগ।

মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন। বাংলাদেশের সংবিধান দ্বারাও তা স্বীকৃত। কিন্তু প্রায় ৫০ বছরেও তা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্রের অভাব ও নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পিছিয়ে

দিচ্ছে নারীর উন্নয়ন যাত্রাকে। প্রচার মাধ্যমগুলোতে নারীর নেতিবাচক উপস্থাপন বন্ধ হতে হবে। নারী কোনো পণ্য নয়। নারীদের নিজেদেরও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নারী-পুরুষের সমান স্বার্থ রক্ষাকারী আইন প্রবর্তন ও আইনের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। নারীশিক্ষা ও নারীর মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে। নারীকে তার কাজের যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে। নারীর কাজকে ছোট করে দেখা চলবে না। নারীর কাজের মূল্যায়ন হতে হবে। সর্বোপরি, নারীর প্রতি ইতিবাচক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিই নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করতে পারে।


ফ্রেডরিক অ্যাঙ্গেলস তার ‘অরিজিন অব দ্য ফ্যামিলি’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘নারীমুক্তি তখনই সম্ভব যখন নারীরা সমাজের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে সমগুরুত্ব নিয়ে অংশগ্রহণ করবে।’ তাই নারীর নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা, নারীর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও নারী-পুরুষ উভয়ের অন্তর্ভুক্তিতেই উন্নয়নের দেখা পাওয়া সম্ভব। এভাবেই নারীরা এগিয়ে যাবেন, তাদের ভবিষ্যৎ হবে কণ্টকমুক্ত।


 ৪) পঠিত গল্প অনুসারে নারীকে এগিয়ে চলার পথে সহায়ক ভুমিকা হলোঃ

 

১)সর্বত্র নারীর শুধু অংশগ্রহণ বাড়ালে চলবে না, তার গুণগত উন্নয়ন জরুরি কোনো দেশের উন্নয়নের জন্য নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন গুরুত্বপূর্ণ নারীকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে ।


২) নারীর অনানুষ্ঠানিক কাজের অর্থনৈতিক মূল্যায়ন করা দরকার ।


৩) কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সংবেদনশীল পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে ।


৪) মেয়ে ও ছেলেশিশুর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সবার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থানের পূর্ণ ব্যবস্থা করতে হবে ।


৫) নারীবান্ধব আইনগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি ।


৬) কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করতে হবে ।


৭) নারীর উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বে আরও ক্ষমতায়ন প্রয়োজন ।




Featured Post

২০২৫ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস

  ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস (২০২৩ সালের সিলেবাসের অনুরূপ) পত্রিকার খবরের লিঙ্ক     ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস (২০২৩ সালের...

Powered by Blogger.